সে কোন কল্পলোকে থাকো তুমি
জন্ম বধির অন্ধ ইশ্বর?
থাকো তুমি সবখানে, এমনি
শুনেছিলাম বটে, অথচ-
দেখলাম না কোনদিন তোমায়
উকি দিতে গরিবের দেওড়িতে।
আগে নাকি এসেছ দু-একবার
পথ ভুলে উদ্ভ্রানত পথিকের মত,
এখন বাজার দর তোমার মেজাজের মতই চড়া
নিরামিষ খাবার পাল্লা এখন চলে সমানে
গরিবে আর টিকিধারী ব্রাক্ষ্মনে
হজমের গোলমাল আছে বুঝি তোমার
মোটা চাল আর নিরামিষের ভয়ে
ভুলেও এ পথ মাড়াও না।
পদ্মা নদীর মাঝি কুবেরের মুখে শুনেছিলাম
'ইশ্বর থাকেন ঐ ভদ্র পল্লীতে'
কই? কতোই তো খুজলাম তাকে
শহরের অলিতে গলিতে,
এখানেও থাকেন না তিনি।
যানযট আর কালো ধোয়া
একদম অপছন্দ তার।
মানুষে পূর্ণ শহরের অপূর্ণতা
পুরনের মন্ত্রটা জানা ছিল তার
বহুদিন মুখে আসেনি
এখন ভুলে গেছেন তিনি।
মানুষের সঙ্গকে বড় ভয় তাঁর
পাছে মানুষের সাথে মিশে
তিনিও মানুষের মত মানুষ বনে যান
তাই ছেড়ে দিয়ে পৃথিবীকে
চলতে আপন গতিতে
বৃদ্ধাশ্রমের মত তিনিও আশ্রয় খোজেন
মানুষের তৈরি কল্পলোকে।
আজ উথলি উঠেছে প্রাণ না জানি
কোন অচেনা সুরের টানে-
আদরে মরিতে।
সকল বাধা দুপায়ে দলিয়া
ব্যাকুলিছে হিয়া তোমাপানে-
বক্ষে জড়িতে।
ওরে কেমনে রূধিব সে প্রানের আকুতি
যে প্রাণ সপেছি তোমার করে।
পতঙ্গ জানে মরিবে পুড়িয়া
তবুও লাফিয়ে পড়ে-
অগ্নী ভূমিতে।
পতঙ্গপ্রায় হৃদয় মোর
পুড়িছে তোমার তরে-
অধর চুমিতে।
পতঙ্গের সুখ মরনেই
সে যে ছুয়েছে অগ্নী-
কাছে এসে।
আমি চাই তুমি মোরে
জড়িয়ে রাখো বুকে-
ভালোবেসে।
প্রানের এ আকুতি মিনতি রূপে
পাঠালাম তোমার তরে-
হাওয়ার চিঠিতে।
কিছু চাইনা আর, শুধু
তোমার ক্ষীণ পরশ দাও মোরে-
বাসনা মিটিতে।
আজ আকাশে চাঁদ ওঠেনি
অথচ-
নিত্য যে জগতে করি বিচরন
জোসনাস্নাত ঝলমলে একখানা আকাশ
আজও এই আমার একমাত্র কামনা।
সে আকাশের আজ কেন সাঁজ?
তবে কি শুক্লাপক্ষেও হয়েছে পরাজয়?
না না ওভাবে ভাবতে ভয় হয়
আমার ভীষন ভয় হয়
কিন্ত্ত একি হলো আজ?
তারার আচলে ঘোমটা টানা
উর্বশী অনন্ত্ম পূর্ণযৌবনা
তবে কি আজ তোমার দেখা পাবনা?
তোমাকে যে---
কিন্ত্ত-
আজ আকাশে চাঁদ ওঠেনি
নিয়ত তোমায় একটুখানি দেখবো বলে
আজো যেন এই বেচে থাকা
হে দেবী চন্দ্র, চাতকসম যন্ত্রনা
জানি তুমি পারবেনা
আমায় দিতে তুমি পারবে না
তবে কেন ও মুখ লুকিয়ে আধারে
এ সেচ্ছা অমাবস্যা বরন?
জানোনা কি পিয়াসা আমার চন্দ্রালোকের তরে
অথচ-
আজ চাঁদ ওঠেনি
কারণ-
আজ তোমার হাঁসি মুখখানি
আমার তৃষ্ণার্ত চোখ দেখেনি।